#একটিদুর্ঘটনাসারাজীবনেরকান্না। হউক সেটা সড়ক কিংবা নদী পথে। রেল কিংবা আকাশ পথে। বিল্ডিং ধ্বসে কিংবা বিল্ডিং থেকে পড়ে গিয়ে। পানিতে ডুবে কিংবা আগুনে পুড়ে। যেকোন ভাবেই হোক, একেকটি ঘটনা বহু জীবনের বিনাশ ঘটায়। অসংখ্য তাজাপ্রাণ মুহুর্তে লাশ হয়ে যায়। কতো মানুষকে পঙ্গুত্ব বরণ করতে হয়। কতো পরিবারের একমাত্র উপাজর্ননকারী ছেলেটি এখন পঙ্গু হয়ে আছে। হাত, পা ভেঙে কতো মানুষের কর্ম থেমে গেছে। কতো শিশুর বাবাকে কেড়ে নিয়েছে দুর্ঘটনা। কেড়ে নিয়েছে কতো সন্তানের মাকে। কতো বাবা-মা হারিয়েছেন আদরের সন্তানকে। কতো ভাই বোনকে, বোন ভাইকে, স্বামী স্ত্রীকে, স্ত্রী স্বামীকে হারিয়েছে। এসবের সঠিক হিসাব নেই। 

বাংলাদেশে প্রতিবছর ১৫ হাজার ছোট-বড় সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে।২০২১ সালে সারাদেশে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ৫৩৭১ টি। এতে নিহত হয়েছেন ৬২৮৪ জন। আহত হয়েছেন ৭৪৬৮ জন। গত বছর করোনার কারণে ৮৫ দিন গণপরিবহণ বন্ধ ছিল। এই দিনগুলো বাদ দিলে গড়ে দৈনিক ২২ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে শিক্ষার্থীর সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি। ৮০৩ জনই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী।এই হিসাবে গত বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ১৩ শতাংশই শিক্ষার্থী। শুধু মে মাসে সর্বাপেক্ষা ৮৪ জন এবং জুন মাসে সবচেয়ে কম ৫৩ জন শিক্ষার্থী নিহত হয়। এদের বড় অংশ নিহত হয়েছে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায়।নিহতদের অধিকাংশের বয়স ১৪ থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে। কিশোর-যুবকদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো ও ট্রাফিক আইন না মানার প্রবণতা দুর্ঘটনায় মৃত্যুর অন্যতম কারণ। 

শিক্ষার্ধীরা সহপাঠীদের হারিয়ে বিভিন্ন সময় নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনে রাজপথে নেমেছে। রাজধানীতে বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনা ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ২০১৮ সালের ২৯ জুলাই থেকে ৬ আগস্ট পর্যন্ত নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছিল। তখন ছাত্ররা দেখিয়ে দিয়েছিল সড়কের অনিয়মগুলো। শিক্ষার্থীদের সেই আন্দোলন সরকারের নানা প্রতিশ্রæতির পর বন্ধ হয়েছিল। কিন্তু সড়কে বিশৃঙ্খলা বন্ধ হয়নি। সরকার আইন পাস করে। কয়জন তা মানে? ঘাতকরা আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে। ধর্মঘটের নামে ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। তাদের কাছে রেহাই পায়না অ্যাম্বুলেন্সের রোগীও। ওরা ঘটনা-দুর্ঘটনায় ফেলে মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলে। নেতা, আমলা আর আইনের ফাঁক দিয়ে তারাও পার পেয়ে যায় অনেক সময়। তাই আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে সরকারকে আরো কঠোর হওয়া দরকার। 
#আইনওবিচারবিভাগমন্ত্রণালয়বাংলাদেশ
#সড়কওপরিবহনমন্ত্রণালয়বাংলাদেশ
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন প্রতিমন্ত্রী এবং আইন ও বিচার বিভাগ প্রতিমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলছি, এই বিষয়গুলোর দিকে আপনাদের কঠোর আইন জারি করা প্রয়োজনে। পরিবহনের লাইসেন্স সিস্টেম আরও জোরদার করুন যেন অদক্ষ কোন নাগরিক পরিবহন চালানোর অনুমতির না পায়। মানুষ সারাজীবন অত্যাচার সহ্য করেনা। একসময় ক্ষিপ্ত বাঘের মতো ঝাপিয়ে পড়ে। যেমনটা হয়েছিল ১৯৭১ সালে।......... শুধু মনে রাখবেন দেশ প্রতিনিধি জনগনের দাবি মানতে বাধ্য। একজন ক্ষমতাশালী শাসক কে সিংহাসন থেকে শিকড় সহ উপড়ে ফেলে দিতে গণআন্দোলন ই যথেষ্ট।
এটা আমার একজনের কথা না, প্রত্যেকটা নাগরিকের কথা। 

সময়ঃ ০৯:৩০ 
মনোহরগঞ্জ,কুমিল্লা